ঢাকার শাহীন স্কুল থেকে এস, এস, সি ও ঢাকা কলেজ থেকে এইচ, এস, সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর ভর্তি হলেন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে। পড়াশোনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বিস্তৃত হল কর্মপরিধি। ছায়ানটের সেতারবাদন বিভাগের মেধাবী ছাত্র শেখ কামাল প্রতিষ্ঠা করলেন ঢাকা থিয়েটার। সুঅভিনেতা হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যঅঙ্গনে সুপরিচিত ছিলেন তিনি। এদিকে খেলাধুলাও কিন্তু চলছে পুরোদমে। সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের বাসিন্দা শেখ কামাল বাস্কেটবল টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন । বাস্কেটবলে তাঁর দক্ষতা অসামান্য দক্ষতা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার হলের শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রেখেছিল তার থাকাকালীন পুরোটা সময়। এর মাঝে ‘৬৯ সালে পাকিস্তানী জান্তা সরকার রবীন্দ্রসঙ্গীত নিষিদ্ধ করল নিকৃষ্টতম ধর্মান্ধতার পরিচয় দিয়ে। কিন্তু শেখ কামালকে কি আর থামানো যায়?

বাঙ্গালী জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতার সন্তান তিনি, নেতৃত্বগুণ আর জাতীয়তাবোধের চেতনা তার ধমনীতে জন্ম থেকেই বাই ডিফল্ট সেটআপ করা। তার প্রতিবাদের ভাষা হলো রবীন্দ্র সঙ্গীত, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে যেখানে যখনই সুযোগ পেলেন, তখনই বিশ্বকবির গান গেয়ে অসহিংস প্রতিবাদের অসাধারন উদাহরন রাখলেন তিনি। কিন্তু ২৫শে মার্চ ১৯৭১রে পাকিস্তানীরা ছাড়িয়ে গেল সব সীমা। পিতা শেখ মুজিব তখন পাকিস্তানী কারাগারে, পুত্র শেখ কামাল বাঙলা মায়ের সম্ভ্রম রক্ষা করতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন মুক্তিযুদ্ধে।
কামাল বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর পরিবারের বাকি সদস্যরা পাকিস্তানীদের হাতে গ্রেফতার হবার আগেই। মে মাসের প্রথম দিকে পাকিস্তানী সেনাদের চোখ এড়িয়ে শেখ কামাল, তৎকালীন জাতীয় পরিষদ সদস্য ইলিয়াস চৌধুরী এবং তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা শেখ শহীদুল ইসলাম গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী হয়ে মুকসুদপুর হয়ে যশোর সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে যান। এরপর ভারতের বেলুনিয়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিশিয়ালি প্রথম ব্যাচের ক্যাডেট হিসেবে শেখ কামালের পাসিং আউট হয়। ১০৫ দিনের ট্রেনিং শেষে এসব তরুণ অফিসাররা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ার মুহুর্তে সেকেন্ড লেফট্যানেন্ট ওয়ালির এক ছোট ডায়েরীতে তাদের অটোগ্রাফ দিয়েছেন। ওয়ালি ছিলেন প্রথম কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদেরই একজন। সেখানে শেখ কামালেরও একটা অটোগ্রাফ আছে। তিনি লিখেছিলেন-
“তোমার সফলতা কামনা করছি।”
শেখ কামালুদ্দিন
৯.১০.৭১
৮, থিয়েটার রোড
কলকাতা।
কামাল বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর পরিবারের বাকি সদস্যরা পাকিস্তানীদের হাতে গ্রেফতার হবার আগেই। মে মাসের প্রথম দিকে পাকিস্তানী সেনাদের চোখ এড়িয়ে শেখ কামাল, তৎকালীন জাতীয় পরিষদ সদস্য ইলিয়াস চৌধুরী এবং তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা শেখ শহীদুল ইসলাম গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী হয়ে মুকসুদপুর হয়ে যশোর সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে যান। এরপর ভারতের বেলুনিয়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিশিয়ালি প্রথম ব্যাচের ক্যাডেট হিসেবে শেখ কামালের পাসিং আউট হয়। ১০৫ দিনের ট্রেনিং শেষে এসব তরুণ অফিসাররা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ার মুহুর্তে সেকেন্ড লেফট্যানেন্ট ওয়ালির এক ছোট ডায়েরীতে তাদের অটোগ্রাফ দিয়েছেন। ওয়ালি ছিলেন প্রথম কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদেরই একজন। সেখানে শেখ কামালেরও একটা অটোগ্রাফ আছে। তিনি লিখেছিলেন-
“তোমার সফলতা কামনা করছি।”
শেখ কামালুদ্দিন
৯.১০.৭১
৮, থিয়েটার রোড
কলকাতা।

No comments:
Post a Comment